ডন প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, নেপাল ও ভুটানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করে ঢাকা-দিল্লি উপকৃত হতে পারে। কারণ, এটি হবে সবুজ জ্বালানি। আর তা সস্তাও।
আজ বুধবার (৮ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীরসঙ্গে গণভবনে সফররত ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।
সৌজন্য সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নেপাল ও ভুটানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করে উভয় দেশই উপকৃত হতে পারে।
হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, বিজিবি ও বিএসএফ বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ছোট-বড় সব সমস্যার সমাধান করতে পারে। তাঁরা চান, এ সমস্যার সমাধান হোক। এতে প্রধানমন্ত্রীও সম্মত হয়েছেন বলে জানান ইহসানুল করিম।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারির ধাক্কা সামলে ভারত স্বাভাবিকের দিকে ফিরে আসছে। করোনার অমিক্রন ধরন নিয়ে সবাই সতর্ক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশও কোভিড-১৯ মহামারির ধকল সামলে উঠে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থার দিকে ফিরছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ৯৯ শতাংশ লোক বিদ্যুতের আওতায় রয়েছে। যেখানে গ্রিড লাইন নেই, সেখানে সরকার সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।
হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদিকে শুভেচ্ছা জানান।
হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা কোভিড-১৯ মহামারিকালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের ৫০তম বিজয় দিবস উদ্যাপন অনুষ্ঠানে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে আমন্ত্রণ জানানোয় তিনি ধন্যবাদ জানান। একে বন্ধুত্বের বিশেষ বন্ধন হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা জানান, ভারত বিশ্বজুড়ে তাঁর মিশনগুলোতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বাংলাদেশ ও ভারতেরমধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম বার্ষিকী উদ্যাপন করবে।
‘এ ছাড়া ওইসব দেশের স্থানীয় জনগণের মধ্যেও বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরবে।’
হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা আশা করছেন, কোভিড পরিস্থিতির উন্নতি হলে জাতিসংঘে ভারত ও বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একটি যৌথ ছবির প্রদর্শনী করবে।
হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতার বিষয়ে কথা বলেন। এ খাতে নতুন প্রযুক্তি ভাগাভাগি করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিব শিলিগুড়ি-পার্বতীপুর, ঢাকা-শিলিগুড়ি ও ঢাকা-জলপাইগুড়ি রেল যোগাযোগ পুনরায় চালু করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা অশোক মল্লিক, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস এ সময় উপস্থিত ছিলেন।