The Our Don Don Food,Don Intelligence Agencies and Other Forces,Don Special,Don World কৃষ্ণসাগরের বন্দর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির সুযোগ দেবে রাশিয়া

কৃষ্ণসাগরের বন্দর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির সুযোগ দেবে রাশিয়া




নিজস্ব প্রতিবেদন, ডন ও বাঙলার কাগজ : কৃষ্ণসাগরের বন্দর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির সুযোগ দেবে রাশিয়া। মস্কো আবার ওই চুক্তিতে ফিরছে বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার (২ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে। এই চুক্তি পুনর্বহালে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে মধ্যস্থতা করেছে তুরস্ক। খবর বিবিসি ও আল-জাজিরার।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকারকে ফোন করেছেন। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, চুক্তি অনুযায়ী এতোদিন যে করিডর দিয়ে শস্য রপ্তানি হচ্ছিলো, বুধবার থেকে সেভাবে আবার শস্য রপ্তানি করা যাবে।

এবার শস্য রপ্তানিতে সোমালিয়া, জিবুতি ও সুদানের মতো আফ্রিকার দেশগুলো অগ্রাধিকার পাবে বলে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন। রাশিয়ার উদ্বেগের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, বৈশ্বিক খাদ্যসংকট মোকাবিলায় শস্য রপ্তানি শুরু হলেও এত দিন তা ধনী ও উন্নত দেশগুলোতে যাচ্ছিল।

আরও পড়ুন :   ‘একসঙ্গে ২৮০ পাকিস্তানি সেনাকে হত্যা করি’।

এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শস্য রপ্তানির জন্য তৈরি করিডরকে ইউক্রেন রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের ক্ষেত্রে ব্যবহার করবে না—কিয়েভের কাছ থেকে এমন নিশ্চয়তা পাওয়ার পরই চুক্তিতে ফিরেছে রাশিয়া।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, কিয়েভের কাছ থেকে এ প্রতিশ্রুতি আদায়ে তুরস্ক ও একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা সহযোগিতা করেছে। তারা ওই আন্তর্জাতিক সংস্থার নাম জানায়নি। তবে তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের ভাষ্য অনুযায়ী, রাশিয়াকে শস্য রপ্তানির চুক্তিতে ফেরাতে তুরস্কের পাশাপাশি মধ্যস্থতা করেছে জাতিসংঘ।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘রাশিয়ার বিশ্বাস, এ মুহূর্তে প্রয়োজনীয় যেসব নিশ্চয়তা মস্কো পাচ্ছে, তাতে করে চুক্তিতে আবার ফেরা যায়। গত সপ্তাহে সেভাস্তোপল বন্দরে সন্ত্রাসীদের (ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী) হামলার পর রাশিয়া শস্য রপ্তানির চুক্তি থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছিলো।’

২৯ অক্টোবর কৃষ্ণসাগরের ক্রিমিয়া উপকূলে রাশিয়ার নৌবহরে ড্রোন হামলা চালায় ইউক্রেন বাহিনী। এরপর ওই সাগরের বন্দর দিয়ে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি চুক্তি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেয় মস্কো। তখন ইউক্রেনের সমুদ্রসীমায় শস্য রপ্তানি কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এ সময়ে ইউক্রেন থেকে কোনো শস্যবাহী জাহাজ ছেড়ে যায় নি।

আরও পড়ুন :   ঢাকায় বৈঠকে বসেছেন বাংলাদেশ-ভারতের পররাষ্ট্রসচিবেরা।

গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালালে দেশটি থেকে শস্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। পরে জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় গত জুলাইয়ে ‘ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভ’ চুক্তি করে দুই দেশ। গত ১ আগস্ট এই চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে ইউক্রেন থেকে বিভিন্ন দেশে ৯৩ লাখ টন খাদ্যশস্য রপ্তানি হয়েছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে।

রাশিয়া ও ইউক্রেন বিশ্বের শীর্ষ দুই গম রপ্তানিকারক দেশ। ইউক্রেনের বন্দরগুলো থেকে শস্য রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপুলসংখ্যক মানুষ অনাহারের ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। যুদ্ধের আগে ইউক্রেন প্রতি মাসে ৫০ লাখ টন খাদ্যশস্য রপ্তানি করত। সেখানে গত সেপ্টেম্বরে দেশটি ৪০ লাখ টন শস্য রপ্তানি করে।

আরও পড়ুন :   গোপালগঞ্জে হত্যাকাণ্ডের জের ধরে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা

কিয়েভে আংশিক ‘ব্ল্যাকআউট’ : কিয়েভের বিভিন্ন অবকাঠামো লক্ষ্য করে রুশ বাহিনীর একের পর এক হামলায় শহরটির বাসিন্দাদের একটি অংশ এখনো বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন রয়েছে। গত সোমবার কিয়েভসহ ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। এতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পাশাপাশি পানির সংকটেও পড়েন কিয়েভের বাসিন্দারা। গত মঙ্গলবার সেখানে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহব্যবস্থা সচল হলেও চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় কিছু কিছু এলাকায় ‘ব্ল্যাকআউট’ চলছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার কিয়েভের মেয়র ভিতালি ক্লিৎশ্চকো বলেন, চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ এখনো পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সঙ্কট মোকাবিলায় নির্দিষ্ট এলাকায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। ক্রিমিয়ায় রুশ নৌঘাঁটিতে হামলার জেরে কিয়েভে এসব হামলা চালায় মস্কো।

About Author

Leave a Reply

Related Post

ডুবে গেছে সব একতলা ঘর। বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট নেই সুনামগঞ্জে।ডুবে গেছে সব একতলা ঘর। বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট নেই সুনামগঞ্জে।

0 Comments ">2:00 AM


ডন প্রতিবেদক, সিলেট : একটি জায়গা নেই সুনামগঞ্জে, যেখানে পানি প্রবেশ প্রবেশ করে নি। সবখানে পানি। একতলা কোনও ঘর আর বসবাসের উপযোগী নেই। সবগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সবগুলো সরকারি অফিসকে আশ্রয়কেন্দ্র

১৫ আগস্ট উপলক্ষে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণ১৫ আগস্ট উপলক্ষে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণ



ডন প্রতিবেদক, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় : জাতীয় শোক দিবস এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকি উপলক্ষে সিলেট জেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের উদ্যোগে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

প্রিয় পাঠক, ভালো মানুষ এবং ভালো কাজের প্ল্যাটফর্ম আওয়ার ডনে আপনাকে স্বাগতম

X