ডন প্রতিবেদন : ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের হাঁপানি ছিলো। শীতকালে তা আবার খুবই বেড়ে যেতো। তাই শীতে দু’বেলা গরম চা খেতেন তিনি। একদিন চা খাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হাঁপের টান একদম কমে গেলো। ঈশ্বরচন্দ্র তো অবাক!
গৃহভৃত্যকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আজ চায়ে কি আদার রস মিশিয়েছিলে?’
ভৃত্য বললেন, না তো। বিদ্যাসাগর বললেন, তাহলে কি মিশিয়েছো? ভৃত্য বললেন, অন্যদিন যেভাবে বানাই, সেভাবেই বানিয়েছি। তাও বিদ্যাসাগরের মনে কৌতূহল হলো। তাই আবারও ভৃত্যকে একের পর এক প্রশ্ন করতেই লাগলেন।
বিদ্যাসাগরের বেশি চাপাচাপিতে ভৃত্য স্বীকার করলেন যে, তাড়াহুড়োয় আজ কেটলি না ধুয়েই চা করে ফেলেছিলেন। বিদ্যাসাগর তাঁকে কেটলি আনতে বললেন।
আনার পর কেটলির ভেতর পরীক্ষা করে তিনি স্তম্ভিত হলেন!
অবশিষ্ট চায়ে দু’টো আরশোলা মরে পড়ে রয়েছে। মাথায় বিদ্যুৎ খেলে গেলো বিদ্যাসাগরের।
আরশোলা বেশি জলে সেদ্ধ করার পর, তাঁকে অ্যালকোহলে ফেলে ছেঁকে ডাইলিউট করে হোমিওপ্যাথির মতে ওষুধ বানিয়ে নিজে ও অন্যদের দিয়ে পরীক্ষা করে দেখলে কেমন হয়, তাতে হাঁপানি, সর্দি সারে কি না!
লোককে না জানালেই হলো, ওষুধে কী আছে।
ভাবনাকে কাজে পরিণত করতে দেরি করেন নি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।
যেমন ভাবা, তেমন কাজ।
জানা যায়, সেই ওষুধে অনেকের রোগের উপশম করেছিলেন বিদ্যাসাগর!