ডন প্রতিবেদক, ইসমাইল ইমন, চট্টগ্রাম : গত দুই বছরে চারটি ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে গেছে মহামারির কারণে। এ বছর সেই অবস্থা নেই। তাই ঈদ আনন্দ যেনো বাঁধ ভাঙা। এরই অংশ হিসেবে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে এসে নীল জলরাশির বুকে আনন্দ খুঁজছেন মানুষজন।
চট্টগ্রামে এবার ফয়’স লেক বা চিড়িয়াখানার চেয়ে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে সবচেয়ে বেশি মানুষ ছিলো। আর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে কোনও প্রকার প্রবেশমূল্য দিতে হয় না বলেই সব ধরনের মানুষই এখানে এসেছিলেন।
তাই সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের জন্য উন্মুক্ত এই সমুদ্র সৈকত ঈদের ছুটিতে ছিলো দর্শনার্থীদের পদভারে মুখরিত।
বিশেষ করে সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখতে এসেছিলেন দূরদূরান্তের মানুষও।
প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়েছেন পর্যটকেরা।
সৈকত পাড়ের দোকানগুলোতে বিক্রিও ছিলো জমজমাট।
কেউ কিনছেন চুড়ি ফিতা, কেউবা আবার কিনে দিচ্ছেন।
কেউ চোখ-মুখ লাল করে চটপটি খাচ্ছেন, কেউবা আবার খাইয়ে দিচ্ছেন।
বেশিরভাগ মানুষই সমুদ্রের সঙ্গে মিতালি পাতার দৃশ্য ফ্রেমে বন্দি করেছেন।
যাঁদের সেই সুযোগ ছিলো না, তাঁদের জন্য ছিলো বিকল্প ব্যবস্থাও। ভ্রাম্যমাণ আলোকচিত্রীরা দারুণ ব্যস্ত ছিলেন পর্যটকদের ফরমায়েশ অনুযায়ী ছবি তোলা ও ১০ মিনিটের মধ্যে সরবরাহের কাজে।
এ ছাড়া পতেঙ্গা নেভাল বিচ এলাকা, হালিশহর আনন্দ বাজার সৈকত, কাট্টলী বিচ এলাকা এবং দক্ষিণ হালিশহর (আকমল আলী সমুদ্র সৈকত) এলাকাটিও ছিলো লোকে-লোকারণ্য।