ডন প্রতিবেদন : রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ৫৩৮টি অবৈধ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। একদিনের (২৪ ঘণ্টা) অভিযানে এসব প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেওয়া হয়। রোববার (২৯ মে) বিকেলে বাঙলা কাগজ ও ডনকে এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেলাল হোসেন।
তিনি জানান, অনিবন্ধিত হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা শনিবার শেষ হয়। এ সময়ে সারা দেশে ৫৩৮টি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার অবৈধ হিসেবে প্রমাণ থাকায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীতে রয়েছে দেড় শতাধিক প্রতিষ্ঠান। এখনো কয়েকটি বিভাগের তথ্য না আসায় এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই জানিয়েছেন ক্লিনিক শাখার পরিচালক।
বেলাল হোসেন আরও জানান, অবৈধ সেন্টারগুলো বন্ধে অভিযান আলও কিছুদিন অভিযান অব্যাহত থাকবে। যাতে অনিবন্ধিত ও অনিয়মের দায়ে দণ্ডিত প্রতিষ্ঠানগুলো আবার গড়ে উঠতে না পারে।
গত ২৫ মে দেশের অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো বন্ধের নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বেঁধে দেওয়া হয় ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা। অধিদপ্তর জানায়, যেসব প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন গ্রহণ করলেও নবায়ন করে নি, তাঁদের নিবন্ধন নবায়নের জন্য সময়সীমা প্রদান করা হবে। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নবায়ন গ্রহণ না করলে, সেসব প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
এ ছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে অপারেশনের সময় এনেসথেশিয়া প্রদান ও ওটি অ্যাসিস্ট করার ক্ষেত্রে নিবন্ধিত চিকিৎসক ছাড়া অন্যদের রাখা হলে সেসব প্রতিষ্ঠান ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান নতুন নিবন্ধনের আবেদন করেছে, তাঁদের লাইসেন্স প্রদানের কার্যক্রম দ্রুত শেষ করতে হবে। লাইসেন্সপ্রাপ্তির আগে এসব প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালাতে পারবে না।
About Author
