The Our Don Don Bangabandhu and Bangabandhu's family,Don Intelligence Agencies and Other Forces,Don Special বঙ্গবন্ধু স্বল্প সময়ে ১ লাখ ৪৭ হাজার ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করেন।

বঙ্গবন্ধু স্বল্প সময়ে ১ লাখ ৪৭ হাজার ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করেন।




বাসস : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর সাড়ে ৩ বছরের মেয়াদে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৩০ একর খাস জমি বরাদ্দের মাধ্যমে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৩২৩ ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করেন।

বঙ্গবন্ধু সরকারই সর্বপ্রথম ভূমিহীন, দুস্থ ও নদীভাঙন কবলিত মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য দেশে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।

উদ্যোগের অংশ হিসেবে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর ক্লার্কে ৪টি গুচ্ছ গ্রাম, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দিয়ারা বালুয়ায় একটি, লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চর পোড়াগাছায় একটি এবং ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার চর দরবেশে একটি গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করা হয়। ৭টি গুচ্ছ গ্রামে ১ হাজার ৪৭০টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়।

আরও পড়ুন :   জঙ্গি সংগঠন শারক্বীয়া ভারী অস্ত্র কিনতে কেএনএফকে ১৭ লাখ টাকা দিয়েছিলো : র‌্যাব

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের শুরুতেই জাতির পিতা ২ কোটি বাস্তুচ্যুত মানুষের পুনর্বাসন ও খাবারের ব্যবস্থা করেন। এ বিষয়ে তিনি ১৯৭২ সালের জুন পর্যন্ত ৬ মাসব্যাপী পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করেন।

এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য ছিলো ভারত থেকে উদ্বাস্তুদের ফিরিয়ে আনা গৃহহীনদের জন্য অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা এবং কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমোর ও তাঁতিদের তাঁদের অর্থনৈতিক জীবনে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা।

১৯৭২ সালের জানুয়ারির মধ্যে প্রায় ১ কোটি শরণার্থী ভারত থেকে দেশে ফিরে আসে। জাতিসংঘ এবং অন্যান্য বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধু সরকার কোনও নতুন কর আরোপ না করেই ৫৫০ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির একটি ‘পুনর্বাসন বাজেট’ প্রণয়ন করে।

আরও পড়ুন :   জিতলো আর্জেন্টিনা, জিতলো বাংলাদেশ

সরকার পরিকল্পনা কমিশন গঠন করে এবং পরে ৪ হাজার ৪৫৫ টাকা দিয়ে প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে।

যুদ্ধোত্তর পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় ভূমিহীন, দুস্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ১ লাখ ৪১ হাজার মণ খাদ্যশস্য বিতরণ, ৯ লাখ বাড়ি পুনর্গঠন এবং ৯ হাজার প্লট বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধে প্রায় ১০ কোটি টাকার সরকারি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বেসরকারি খাতের বাড়িঘর ভাঙচুর হয় ৮২৫ কোটি টাকার।

আবাসন সমস্যা সমাধানে পুনর্নির্মাণের কাজকে ১০টি সেক্টরে ভাগ করে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা হয়। এগুলো হলো : ইমারত অধিদপ্তর, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, পূর্ত অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তর, পুলিশ অধিদপ্তর, পর্যটন করপোরেশন এবং বাংলাদেশ রাইফেলস সার্ভে বিভাগ।

আরও পড়ুন :   আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে শিক্ষামন্ত্রীকে সিলেটে যেতে বললেন শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা।

বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগে ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচিতে’ অর্থের ব্যবস্থা করা হয়। ফলস্বরূপ, ২০ হাজার ৪৩০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিলো। যেখানে ১৫ মিটার উঁচুসহ ১৩৭টি বহুতল আশ্রয় কেন্দ্র এবং ১৩৭টি ‘মাটির কেল্লা’ নির্মাণ করা হয়েছিলো। স্থানীয়ভাবে ‘মুজিব কেল্লা’ নামে পরিচিত এসব মাটির তৈরি দুর্গে মানুষের পাশাপাশি পশুর আশ্রয়ের ব্যবস্থা ছিলো।

About Author

Leave a Reply

Related Post

নারায়ণগঞ্জের ব্রহ্মপুত্র নদে পূণ্যস্নানে মানুষের ঢল। মহাসড়কে ৩০ কিলোমিটারের যানজট।নারায়ণগঞ্জের ব্রহ্মপুত্র নদে পূণ্যস্নানে মানুষের ঢল। মহাসড়কে ৩০ কিলোমিটারের যানজট।

0 Comments ">2:40 PM


ডন সংবাদদাতা, নারায়ণগঞ্জ : সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দুদের পূণ্য স্নানোৎসব উপলক্ষে মানুষের ঢল নেমেছে। এক্ষেত্রে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দের ব্রহ্মপুত্র নদে মহাঅষ্টমী উপলক্ষে স্নান চলছে। আর স্নান করতে আসা মানুষের যানের

ছাদখোলা বাসে নারী ফুটবলাদের বরণ-২।ছাদখোলা বাসে নারী ফুটবলাদের বরণ-২।



  আরও পড়ুন :   জঙ্গি সংগঠন শারক্বীয়া ভারী অস্ত্র কিনতে কেএনএফকে ১৭ লাখ টাকা দিয়েছিলো : র‌্যাব আরও পড়ুন :   আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রায় ইউএনও-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার! About Author

প্রিয় পাঠক, ভালো মানুষ এবং ভালো কাজের প্ল্যাটফর্ম আওয়ার ডনে আপনাকে স্বাগতম

X