The Our Don Don Banking, Business, Economy, Commerce and E-Commerce,Don Intelligence Agencies and Other Forces,Don Special ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুহিতের দ্বিতীয় জানাজা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুহিতের দ্বিতীয় জানাজা।




ডন প্রতিবেদন : সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের দ্বিতীয় জানাজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (৩০ এপ্রিল) বেলা দেড়টার দিকে নানা স্তরের মানুষ এই জানাজায় অংশ নেন। সেখান থেকে দাফনের জন্য তাঁর মরদেহ নেওয়া হবে মুহিতের জন্মস্থান সিলেটে।

জানাজার আগে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আবুল মাল আবদুল মুহিতের মরদেহ রাখা হয় জাতীয় শহিদ মিনারে। সেখানে ছিলো দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে প্রায় ৪৫ মিনিট।

সাবেক অর্থমন্ত্রীর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর গুলশান আজাদ মসজিদে। আজ বেলা ১১টা ৫ মিনিটে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।

গুলশানের জানাজায় উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, আবুল মাল আবদুল মুহিতের ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদসহ অন্যান্যরা।

আরও পড়ুন :   আরব আমিরাত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাপ্রধান

সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গতকাল শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮৮ বছর।

বর্ণাঢ্য জীবন : আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তৎকালীন সিলেট জেলা মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা আবু আহমদ আবদুল হাফিজ ও সৈয়দা শাহার বানু চৌধুরীর ১৪ সন্তানের মধ্যে তৃতীয় সন্তান মুহিত। স্ত্রী সৈয়দা সাবিয়া মুহিত একজন ডিজাইনার। তিন সন্তানের মধ্যে কন্যা সামিনা মুহিত ব্যাংকার ও আর্থিক খাতের বিশেষজ্ঞ। বড় ছেলে সাহেদ মুহিত বাস্তুকলাবিদ এবং ছোট ছেলে সামির মুহিত শিক্ষক।

যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়া আবদুল মুহিত বরাবরই একজন মেধাবী মানুষ ছিলেন। ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। পরের বছর একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এর আগে অংশ নেন ভাষা আন্দোলনে। ছাত্রজীবনে সলিমুল্লাহ হল ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন :   রাঙামাটিতে দিনে-দুপুরে অস্ত্র হাতে সন্ত্রাসীরা!

১৯৫৬ সালে আবদুল মুহিত যোগ দেন পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে (সিএসপি)। সিএসপিতে যোগ দিয়ে তিনি ওয়াশিংটন দূতাবাসে পাকিস্তানের কূটনীতিকের দায়িত্ব নেন এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের জুনে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করেন। ওই সময় তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

সিএসপি হওয়ার পর মুহিত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান, কেন্দ্রীয় পাকিস্তান ও পরে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর দেশে ফিরে তিনি পরিকল্পনা সচিব হন। এর আগে পাকিস্তান পরিকল্পনা কমিশনের উপসচিব থাকাকালে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে বৈষম্যের ওপর ১৯৬৬ সালে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন তিনি। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে এটিই ছিলো এ বিষয়ে প্রথম প্রতিবেদন।

আবুল মাল আবদুল মুহিত বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় পরিচিত ব্যক্তি ছিলেন। ১৯৭২-৭৩ সালে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের সদস্য হলে সেপ্টেম্বরে মুহিত হন বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশের পক্ষে ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা গ্রুপের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক।

আরও পড়ুন :   নারী ফুটবল দলকে সেনাবাহিনীর সংবর্ধনা

১৯৭৭-৮১ পর্যন্ত আবুল মাল আবদুল মুহিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ছিলেন এবং ১৯৮১ সালে স্বেচ্ছায় সরকারি চাকরি ছেড়ে দেন। ১৯৮২ সালে ২৪ মার্চ এইচ এম এরশাদ ক্ষমতা দখল করলে তাঁকে অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী করার প্রস্তাব দিলে তিনি শর্ত সাপেক্ষে রাজি হন। শর্তটি ছিলো, নির্দলীয় সরকার গঠন করে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

এরশাদ কথা না রাখলে দুই বছরের মাথায় মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন মুহিত। এরপর তিনি বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন। তিনি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। সরকার তাঁকে ২০১৬ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে। স্বাধীনতাযুদ্ধে অনন্য ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে এটি দেওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধ, জনপ্রশাসন, অর্থনীতি ও রাজনৈতিক বিষয়ে মুহিত বই লিখেছেন ৪০টি।

About Author

Leave a Reply

Related Post

মালদ্বীপ থেকে দগ্ধদের খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।মালদ্বীপ থেকে দগ্ধদের খোঁজ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।



ডন প্রতিবেদন : ঝালকাঠির লঞ্চ দুর্ঘটনায় হাসপাতালে ভর্তি অধিকাংশ মানুষের শ্বাসনালী দগ্ধ হয়েছে। তাঁদের শরীরের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি

এলডিসি উত্তরণে নরওয়ের সমর্থন চায় ঢাকা।এলডিসি উত্তরণে নরওয়ের সমর্থন চায় ঢাকা।

0 Comments ">11:38 AM


ডন প্রতিবেদন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) গ্রুপ থেকে বাংলাদেশের সুষ্ঠুভাবে উত্তোরণে ঢাকা নরওয়ের সার্বিক সমর্থন কামনা করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের পারস্পরিক স্বার্থে

প্রিয় পাঠক, ভালো মানুষ এবং ভালো কাজের প্ল্যাটফর্ম আওয়ার ডনে আপনাকে স্বাগতম

X