The Our Don Don Banking, Business, Economy, Commerce and E-Commerce,Don Intelligence Agencies and Other Forces,Don Special পারিবারিক কবরস্থানে রোববার মুহিতের দাফন। সিলেট আ.লীগের দুই দিনের শোক।

পারিবারিক কবরস্থানে রোববার মুহিতের দাফন। সিলেট আ.লীগের দুই দিনের শোক।




ডন সংবাদদাতা : সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল মাল আবদুল মুহিতের দাফন রোববার (পহেলা মে) সিলেট নগরের রায়নগর এলাকায় তাঁদের পারিবারিক কবরস্থানে হবে। এর আগে বেলা দুইটায় নগরের আলিয়া মাদরাসা মাঠে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে সাবেক অর্থমন্ত্রীর মৃত্যুতে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ দুই দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এর অংশ হিসেবে শনি ও রোববার আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন।

আজ শনিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় নগরের ধোপাদীঘিরপাড় এলাকার বাসায় আবুল মাল আবদুল মুহিতের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের এক বৈঠক হয়। এরপর এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। বিষয়টি বাঙলা কাগজ ও ডনকে নিশ্চিত করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন।

ওই যৌথ সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ) আসনের সাংসদ হাবিবুর রহমানসহ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা থেকে জানানো হয়, আজ সন্ধ্যায় আবুল মাল আবদুল মুহিতের মরদেহ সিলেট নগরের বাসভবনে নিয়ে আসা হবে। সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কাল দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত নগরের চৌহাট্টা এলাকার সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাঁর মরদেহ রাখা হবে। এরপর বেলা দুইটায় আলিয়া মাদরাসা মাঠে জানাজা শেষে নগরের রায়নগর এলাকার পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর দাফন সম্পন্ন হবে।

আরও পড়ুন :   অনশন নয়, ‘বড় ভাইদের’ জানিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরলেন ইডেনের সেই নেত্রীরা

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রীর মৃত্যুতে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ দুই দিনের শোক পালন করবে। এর অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন।

এ ছাড়া ঈদের পরদিন বাদ জোহর মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় হজরত শাহজালাল (রহ.) মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল হবে। পাশাপাশি সব মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডায় দোয়া ও বিশেষ প্রার্থনা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আবুল মাল আবদুল মুহিত গতকাল শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮৮ বছর।

বর্ণাঢ্য জীবন : আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তৎকালীন সিলেট জেলা মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা আবু আহমদ আবদুল হাফিজ ও সৈয়দা শাহার বানু চৌধুরীর ১৪ সন্তানের মধ্যে তৃতীয় সন্তান মুহিত। স্ত্রী সৈয়দা সাবিয়া মুহিত একজন ডিজাইনার। তিন সন্তানের মধ্যে কন্যা সামিনা মুহিত ব্যাংকার ও আর্থিক খাতের বিশেষজ্ঞ। বড় ছেলে সাহেদ মুহিত বাস্তুকলাবিদ এবং ছোট ছেলে সামির মুহিত শিক্ষক।

আরও পড়ুন :   ৭ মামলার আসামি ‘কুখ্যাত ডাকাত’ রনি হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ পুলিশ

যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে উচ্চতর ডিগ্রি নেওয়া আবদুল মুহিত বরাবরই একজন মেধাবী মানুষ ছিলেন। ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। পরের বছর একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এর আগে অংশ নেন ভাষা আন্দোলনে। ছাত্রজীবনে সলিমুল্লাহ হল ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

১৯৫৬ সালে আবদুল মুহিত যোগ দেন পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে (সিএসপি)। সিএসপিতে যোগ দিয়ে তিনি ওয়াশিংটন দূতাবাসে পাকিস্তানের কূটনীতিকের দায়িত্ব নেন এবং মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের জুনে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগ করেন। ওই সময় তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

সিএসপি হওয়ার পর মুহিত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান, কেন্দ্রীয় পাকিস্তান ও পরে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতার পর দেশে ফিরে তিনি পরিকল্পনা সচিব হন। এর আগে পাকিস্তান পরিকল্পনা কমিশনের উপসচিব থাকাকালে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে বৈষম্যের ওপর ১৯৬৬ সালে একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন তিনি। পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে এটিই ছিলো এ বিষয়ে প্রথম প্রতিবেদন।

আরও পড়ুন :   রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু।

আবুল মাল আবদুল মুহিত বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), ইসলামি উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় পরিচিত ব্যক্তি ছিলেন। ১৯৭২-৭৩ সালে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের সদস্য হলে সেপ্টেম্বরে মুহিত হন বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশের পক্ষে ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা গ্রুপের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক।

১৯৭৭-৮১ পর্যন্ত আবুল মাল আবদুল মুহিত অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ছিলেন এবং ১৯৮১ সালে স্বেচ্ছায় সরকারি চাকরি ছেড়ে দেন। ১৯৮২ সালে ২৪ মার্চ এইচ এম এরশাদ ক্ষমতা দখল করলে তাঁকে অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী করার প্রস্তাব দিলে তিনি শর্ত সাপেক্ষে রাজি হন। শর্তটি ছিলো, নির্দলীয় সরকার গঠন করে জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

এরশাদ কথা না রাখলে দুই বছরের মাথায় মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন মুহিত। এরপর তিনি বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন। তিনি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। সরকার তাঁকে ২০১৬ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে। স্বাধীনতাযুদ্ধে অনন্য ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে এটি দেওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধ, জনপ্রশাসন, অর্থনীতি ও রাজনৈতিক বিষয়ে মুহিত বই লিখেছেন ৪০টি।

About Author

Leave a Reply

Related Post

প্রতারক শামস্‌-উলের জালিয়াতি সারাদেশে!প্রতারক শামস্‌-উলের জালিয়াতি সারাদেশে!



নিজস্ব প্রতিবেদন, ডন ও বাঙলার কাগজ : রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক খাতের অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের সদ্য বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ শামস্‌-উল ইসলামের জালিয়াতি সারাদেশেই বিস্তৃত।

ছবি : ভয়াল রাতের পর সিলেটে জ্বললো আলো।ছবি : ভয়াল রাতের পর সিলেটে জ্বললো আলো।

0 Comments ">9:28 PM


আরও পড়ুন :   সাংসদের উপস্থিতিতে জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতার স্বজনদের জমি দখলের অভিযোগ। About Author admin See author's posts

প্রিয় পাঠক, ভালো মানুষ এবং ভালো কাজের প্ল্যাটফর্ম আওয়ার ডনে আপনাকে স্বাগতম

X